বাংলাদেশের বিভিন্ন শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংক হতে অবৈধভাবে চট্টগ্রামের ছেলেদের টার্মিনেট করার প্রতিবাদে আজ পটিয়া উপজেলার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এর মাঠে বৃহৎ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভাই পটিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক হতে চাকরিচ্যুত ব্যাংকার ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, পটিয়া তথা চট্টগ্রামের ছেলেদের ষড়যন্ত্র করে চাকরিচ্যুত করে গুটিকয়েক লোকের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, অনতিবিলম্বে চাকরিচ্যুত দের পুনরায় চাকরিতে বহাল করার আহবান জানান তারা।তা না হলে বৃহৎ সমাবেশের হুশিয়ারি দেন বক্তারা
পৌর যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের দক্ষিণ জেলা সভাপতি ডা. এমদাদুল হাসান, জামায়াতের পটিয়া আসনের প্রার্থী ডা. ফরিদুল আলম, ইসলামী ফ্রন্ট দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি আলি হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবসার উদ্দিন সোহেল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত, সদস্য সচিব পিকলু, কামরুল ইসলাম এবং দক্ষিণ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আরমান সুমন প্রমুখ।
ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত ভুক্তভোগীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আবু বকর ফাহিম ও জয়নাল আবেদীন; সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মঞ্জুর হিরু, শিবলু ও কানুন; ইসলামী ব্যাংকের মো. ইরফান ও খোরশেদ আলম; ইউনিয়ন ব্যাংকের মোহাম্মদ সাঈদুল হক, মো. আসিফুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও লাদেন; বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের রবিউল ও তুষার; আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের টিপু সুলতান ও মেহেদী হাসান এবং সোনিয়া আক্তার।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়, যা পৌরসভার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পটিয়া পোস্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বক্তারা বলেন, এ অন্যায্য সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।