রক্ত গেল, রক্ত খেল,
রক্তে হলো সূর্য লাল।সোনার দেশে একি হলো,
শুধু হইলো স্বৈরাচার।দুর্নীতি দমন করতে এলো,
২৪ – এরই সংগ্রাম।প্রান হারালো শত মায়ের,
শিক্ষিত সন্তান।সেই সু্যোগে ফিরলো দেশে,
ছদ্মবেশী শয়তান।রাজারা তবু রাজা রইলো,
দরিদ্ররা হলো দুর্বল।সরকারের সেই চাকরগুলো হলো,
আলোর দেশের অন্ধপ্রদিপ।ধনিরা আজ ধনি হচ্ছে আর,
গরিবেরা হচ্ছে ফকির।বিচারালয়ের সেই কার্যক্ষমতা,
রয়ে গেছে তালুর নিচে।রাস্তার ঘাটে শিক্ষিত যুবকেরা,
আজো বেকার ঘোরে।
অবশেষে ক্লান্তি বেশে,
তারাও একদিন নেশার পথ ধরে।এবার এলো ছন্নছাড়া,
কৃষক সমাজের কথা।অন্নদাতা সে অন্ন যোগায়,
মিটাই সকলের ক্ষুধা।তার পেটেতেই আজ অন্ন নায়,
লেগেছ দুর্দশা।বাজারজাত ফসল গুলার,
দাম গিয়েছে কমে।
তবুও বাজার খেয়ে নিয়েছে,
পেট ভড়ানো অর্থখানি।কোথায়ও নাই শান্তির দেশ,
সবখানেতেই চাঁদা।ফকিরের বেশে গুন্ডাগুলার,
জোর করে খাওয়া।ভিক্ষে যদি নিতেই হয় নিতিশ করোজরে,
তাইলে তো আপসোস থাকতো না ব্যথিত রিদয়ে।ক্ষুদার জ্বালা পেটে নিয়ে,
একমাত্র ছেলেকে শিখিয়েছে লেখাপড়া
অনেক স্বপ্ন নিয়ে।বড় হইলে ছেলে তাহার,
মস্ত সাহেব হবে।তালুর নিচের কারসাজিতে,
পেরে ওঠ না আর।সাহেবের ছেলে সাহেব হবে আর,
ফকিরের ছেলে করবে ভিক্ষা।এই নীতিতেই কি স্বাধীন হলো,
আমাদের এই দেশটা।লক্ষ্য শহীদের বিনিময়েও কি
পাবনা এমন একটি প্রহর,যেখানে,
যোগ্যরা পাবে সম্মান আর,
ক্ষমালোভী রাজারা পাবে
নির্বাসন।