ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের সাত সদস্যসহ আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ জনই নারী। ঘটনাস্থলে পাঁচজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার সীমান্ত অংশের আইড়মারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে
যাত্রী একই পরিবারের সাতজন নিহতরা হলেন- ইতি খাতুন (৪০), জাহিদুল ইসলাম (৬৫), সেলি বেগম (৬০), আঞ্জুমানয়ারা (৭৫), আন্না খাতুন (৬০), আনু বেগম (৫৫) ও সীমা খাতুন (৩৫)। নিহতদের মধ্যে সীমা খাতুনের বাড়ি কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে। অন্য ৭জনের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামে। তাছাড়া এ দুর্ঘটনায় মাইক্রোচালক সাহাবুদ্দিন (৩৫) প্রাণ হারিয়েছেন।
এ দুর্ঘটনার পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয় মহাসড়কে। ফায়ার সার্ভিসের গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, নাটোর ও বনপাড়া হাইওয়ে থানার সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বনপাড়া হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে।নিহত মাইক্রো চালক সাহাবুদ্দিনের মামাতো ভাই ধর্মদহ গ্রামের বাসিন্দা হাসিবুল ইসলাম বলেন, দৌলতপুর থেকে সিরাজগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য সাবুদ্দিনের মাইক্রোবাসটি ভাড়া করা হয়েছিল। একই পরিবারের সাতজন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই মাইক্রোবাসে রওনা হন। একই গ্রামের ৭ ব্যক্তির মৃত্যুর খবরে ধর্মদহগ্রামে চলছে শোকের মাতম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আইড়মারী ব্রিজের কাছে এলে কিছু বুঝে উঠার আগেই বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক চলন্ত মাইক্রোবাসের ওপর উঠে পড়ে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটি।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাঈল হোসেন জানান, সকাল ১০টার কিছু পরে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় লাশগুলো উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। এখন পরিচয় নিশ্চিতের কাজ করছেন তারা। তাছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।