আমি কাঁপিত পথের ধূলি, আমি ছিন্ন ভিখারী,
শূন্য হাতে ফিরি দিনে—রাত শেষে পথহারী।
ঘরে নেই দীপালোক, নেই কণ্ঠে আহ্বান,
দুয়ার বুঁজে বসে আছে যে সমাজ নির্জন প্রাণ।আমার চোখে স্বপ্ন জাগে, তবু পেটে ক্ষুধা বাজে,
তুমি দিলে পুঁথির কথা, আমি খুঁজি অন্নের সাজে।
তোমার সভ্য নগরে—আমি কেবল ছায়া,
আমার রোদ নেই—ধূপ নেই—শুধু চোখে জমে যায় মায়া।আমি গাই না বিপ্লব, আমি ছুঁই না গান,
আমি চাই শুধু একটু ভাত, একটু মানুষের স্থান।
তবু হায়! তবু হায়! তোমরা দাও না ঠাঁই,
আমার নাম ‘কাঙাল’ রেখেই সমাজ পাশে নাই।তবু আমি হাসি হেসে, প্রতিদিন পথে যাই,
যেখানে সূর্য ওঠে—সেখানে আমার আশার ঠাঁই।
আমি জানি, একদিন প্রেমে রঙিন হবে ধরণী,
কাঙালের ছেঁড়া চাদরেও ফুটবে কবিতার ধ্বনি।