মাইলস্টোন বিমান বিধ্বস্ত
বর্ষা আক্তার পিচ্চিমুহূর্তেই নীল আকাশ কালো রঙে ছেয়ে গেল। স্বপ্নগুলো ধূলিসাৎ চারপাশে রক্তের বন্যা পোড়ামাটির গন্ধ প্রাণ বাঁচানোর আত্মনার্দ হাহাকার ব্যথায় চিংকার
দিনটা যেন আলো থেকেও অন্ধকারে রুপ নিলো।দৌড়ে বেড়ানো চঞ্চল শিশুদের শরীর আগুনে গ্রাস করে নিল, চারদিকে ছোটাছুটি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা। বাবা মার সন্তান হারানোর আহাজারি। দিনটিকে যেন অশুভ বাতাসে বয়ে নিয়ে গেল।
অথচ এই ছোট ছোট শিশুর চোখে মুখে ছিল স্বপ্নের জোয়ার
কেউ হাসিমুখে স্কুল ড্রেস পরতে পরতে বলতো, মা আমি বড় হয়ে ডাক্তার হব
গর্বে মায়ের বুকটা ভরে যেত
স্নেহমাখা হাতে আদর করে দিতেন একবুক প্রত্যাশা নিয়ে
আমার ছেলেটা ডাক্তার হবেকেউবা পড়তে বসে বলত
আচ্ছা মা, পাইলট হতে কেমন পড়তে হবে?
খুশি হয়ে মা বলতেন, একটু বেশি বাবা
ঠিক আছে এখন থেকে রোজ স্কুলে যাব আর মন দিয়ে পড়ব
মা তখন বুকে জড়িয়ে কপালে চুমো একে দিতেন
সেই স্বপ্নবাজ শিশুরা আজ রক্তের অভাবে কাতরাচ্ছে
সন্তান হারা মা পাগল প্রায়নিয়তি বড় নিষ্ঠুর
কিভাবে একটা বাবা তার আট বছরের সন্তানকে অন্ধকার কবরে রেখে আসবেন?
যার হাসিমাখা মুখটার জন্য দিনের পর দিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস
দশ মিনিটের ব্যবধানে পুরো পৃথিবী অশ্রুসিক্ত হয়ে গেল
হায় কি হলো আফসোস নিয়ে