এই সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠ আর আঙিনাজুড়ে হিজল-তমালের জন্যও যে সজল মায়া জমে আছে হৃদে।
সব তো আর শিকেয় উঠে না এই এক জীবনে।
গেঁথে থাকে ফেলে আসা সেই স্কুলজীবনের ঘণ্টাধ্বনি, মন মাতানো কলরব, কারণে অকারণে উচ্ছ্বসিত মুহুর্ত বা বৃষ্টির দিনে গলা ছেড়ে গান করা।
মনে পড়লেই দমকা হাওয়া দুলে ওঠে এই অবোধ্য বিবমিষা প্রলাপে; দুলিয়ে দেয় গাছের শাখা, পত্র বা পল্লব।
সেই
সব
অহিশেবি স্মৃতি মনে পড়লেই তরাসে কেঁপে উঠে ভেতর-বাহির।
ঝাড়া
এক
লণ্ঠন
ঘুম আতলে উঠে লোচন কোঠরে।
সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে যখন সাহিত্যে মন ও দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখি কিছুক্ষণের অবকাশে।
অবারিত অবকাশ আর হয়ে উঠে না, জীবন বা বাস্তবতার নিমিখপানে ছুটে চলি ফের-দের।
কোঁচড়ভর্তি
প্রেম
নিয়েছিলাম
শৈশবে; তার বিচ্ছুরণ এখনও অব্যাহত সেটা জেগে উঠে বা মনে পড়ে।
স্মৃতি কেমন জানি ভরদুপুর বা রাতদুপুরে বাঁশির মতো বাদক আর শ্রোতা উভয়ের জন্য বিপজ্জনক, মনে উচাটন হয়ে যায়।
আহমেদ রাজু
কবি ও আবৃত্তিকার