নিজস্ব প্রতিবেদক:
“বর্তমানের বস্তুবাদ ও ভোগবাদী বিশ্বে নৈতিকভাবে শিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে ধর্মীয় চর্চার কোন বিকল্প নেই, এই নৈতিক শিক্ষার মূল আধার আল্লাহ্ ও রাসুলের প্রেমময় আনুগত্য ও আল্লাহর অলিগণের পদাঙ্ক অনুসরণ”
গত ২৮ ও ২৯ জুন ২০২৫ নিউইয়র্ক আলবেনী সিটির ইম্পায়ার স্টেট প্লাজা হলে নর্থ আমেরিকান মুসলিম অ্যালায়েন্স কর্তৃক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ইসলামিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। শায়খ সাইফুল আযম আল আযহারীর সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে সকাল ১১ টায় প্রথম দিনের অধিবেশন শুরু হয়। সূচনা বক্তব্যের পর কোরআন তেলাওয়াত করেন আন্তর্জাতিক ক্বারী আহমদ বিন ইউসুফ। দিনের প্রথম অধিবেশনে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ দরবারে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর গাউসিয়া হক মনজিলের সম্মানিত সাজ্জাদানশীন ও শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টের মাননীয় ম্যানেজিং ট্রাস্টি রাহবারে আলম হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম. জি. আ.)। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের সামাজিক কাঠামো প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রায় দুই বিলিয়ন মুসলিম উম্মাহ্ উচিত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা। পারস্পরিক আন্তরিকতা এবং বিশ্বাসঘটিত সংকট আজ উম্মাহ্কে বিভাজিত করছে। এই বিভাজন আমাদেরকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দিচ্ছে। অথচ ফকিহ্গণের মতভেদ, বিভিন্ন মাযহাব এবং ত্বরিকা বৈচিত্র্যকে ধারণ করে বহু মতভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার শিক্ষা দেয়। পূর্ববর্তী সুফিরা তাসাওউফের শিক্ষার উপর জোর দিতেন। কারণ তাসাওউফের শিক্ষার অনুপস্থিতিতে একজন মুসলিমের মানসিকতা যান্ত্রিক ও বস্তুবাদী হয়ে ওঠে। আর তাসাওউফ নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা এবং আল্লাহ্ সাথে সম্পর্ক গঠনের উপর গুরুত্ব দেয়। তিনি এই অনুষ্ঠান চলমান থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রথম দিনের নির্ধারিত কনভেনশন স্পীকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন শায়খ গোলাম রসুল, শায়খ ড. নুর মোহাম্মদ কাব্বানী ও শায়খ ড. ইয়াহিয়া নিনবি। প্রথম দিবসে গেস্ট অব অনার হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ড. সৈয়দ ইরশাদ আহমদ আল বুখারী। শায়খ সাইফুল আযম অলে আযহারীর সমাপনী বক্তব্য, মিলাদ-কিয়াম ও মুনাজাতের মাধ্যমে ১ম দিনের অধিবেশন সমাপ্ত হয়। এছাড়াও প্রথম দিনে মহিলা, শিশু ও তরুণদের আলাদা আলাদা সেশন পরিচালিত হয়।