1. news@dainikchatgarkobor.com : দৈনিক চাঁটগার খবর : দৈনিক চাঁটগার খবর
  2. info@www.dainikchatgarkobor.com : দৈনিক চাঁটগার খবর :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
Waste To Resource’ ও ‘GSTU Cleaning Project’-এর উদ্যোগে গোবিপ্রবিতে Waste Audit সম্পন্ন পড়ন্ত বিকেলের নামহীন আপনজন -সামান্তা কবির পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড হযরত ইমাম হোসাইন ইসলামি ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে আজিমুশশান ৬তম পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল অনুষ্ঠিত যুব নিশান ক্লাব নির্বাচনে সহ–সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন ফরম জমা দিলেন তরুণ ব্যবসায়ী খোকন মিয়া কবিতা-এম. হেলাল বিন ইলিয়াছ পারিবারিক শত্রুতার জেরে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রকে হত্যার চেষ্টা রক্তের প্রবাল-সাহেদ আহমেদ রেজা পটিয়ায় আল মুজতবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ উপলক্ষে ইসলামী জ্ঞান প্রতিযোগিতা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত পটিয়ার কণ্ঠস্বর-মোহাম্মদ শহীদুল আলম শরীয়াভিত্তিক ব্যাংকে গণহারে কর্মী ছাঁটাই।চাকরি যাবেনা গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের

পটিয়ার খান মোহনার জগতচন্দ্র মহাজনের ঐতিহাসিক পান্থশালা জৌলুস হারিয়ে টিকে আছে এখনো

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

পটিয়ার খান মোহনার জগতচন্দ্র মহাজনের ঐতিহাসিক পান্থশালা জৌলুস হারিয়ে বয়সের ভারে ধ্বংসের পথে

প্রায় ১০০ বছর আগের কথা। গ্রামগঞ্জে তখন সড়ক যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। সংগত কারণে মানুষের যাতায়াত ছিল মূলত হেঁটে। বণিক-সওদাগরেরাও তাঁদের পণ্যসামগ্রী বজরা নৌকায় ভরে দূর-দূরান্তের হাটবাজারে নিয়ে যেতেন নদীপথে। সাপ্তাহিক হাটের বেচাকেনা শেষে তাঁরা আবার যাত্রা করতেন পরের গন্তব্যে। এই সময়ে কারও রাত্রিযাপনের প্রয়োজন দেখা দিত। কিন্তু এখনকার মতো হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট কিংবা রেস্টহাউসের অস্তিত্ব তখন ছিল না। তাই পথচারীদের আশ্রয়স্থল ছিল জমিদারের পান্থশালা।
এই ধরনের শতাব্দী প্রাচীন একটি পান্থশালার অস্তিত্ব কোনোমতে টিকে আছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভূমি ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়া গ্রামে। প্রয়াত জমিদার জগৎ মোহন মহাজন পান্থশালাটি নির্মাণ করেছিলেন এলাকার খানমোহনা খালের পাড়ে। খালের উল্টো দিকে ছিল কৃষ্ঠাখালী বাজার, যেটি সপ্তাহের প্রতি সোম ও শুক্রবার জমজমাট থাকত। পান্থশালা নির্মাণের সময় পাশে প্রায় চার একর আয়তনের বিশাল এক দিঘিও খনন করা হয় আশ্রয় নেওয়া লোকজনের সুপেয় আর ব্যবহারের পানির প্রয়োজনে।
এলাকার লোকজন বলছেন, এই খানমোহনা খাল ধরেই একসময় সওদাগরি নৌকা চলত। দূর-দূরান্তের লোকজনের যাতায়াতও ছিল এই খাল ধরে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পণ্যের পসরা নিয়ে কর্ণফুলী নদী হয়ে বোয়ালখালী খাল, চানখালী খাল, খানমোহনা খাল ধরে নিত্য চলাচল করতেন। সময়ের বিবর্তনে এখন খানমোহনা খাল শুকিয়ে নালায় রূপ নিয়েছে। পাশের বাজারটিও আর বসে না। এখন মানুষ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে সহজেই চার কিলোমিটার দূর পটিয়া সদরে গিয়ে নিজেদের মনমতো বাজার-সদাই করছেন। সময়ের বিবর্তনে এখন পান্থশালার প্রয়োজনও ফুরিয়ে গেছে। তাই ইট-সুরকির দোতলা টিনের চালের দালানঘরটি কোনোমতে টিকে আছে অনাদর-অবহেলায়।
জমিদার জগৎ মোহন মহাজন পান্থশালাটি নির্মাণ করেন ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে। ব্রিটিশ আমল থেকেই দক্ষিণ চট্টগ্রাম এলাকার প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন তিনি। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সেই জগৎ মোহন মহাজনের পান্থশালায় বসে পানি পানসহ খাওয়া-দাওয়া করতেন। আবার পান্থশালার দোতলায় বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। কালের বিবর্তনে তাঁদের জমিদারি জায়গা-সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যায়। ১৯৪৬ সালে জগৎ মোহন মহাজন মারা যান তিন পুত্র ও দুই কন্যা রেখে। এক ছেলে সুনীল চন্দ্র চৌধুরী পটিয়া ডেঙ্গাপাড়া গ্রামেই থাকেন। এখানে জরাজীর্ণ একটি মাটির ঘরে মহাজনের পরিবারের বংশধরদের বসবাস। অন্য দুই ছেলে চট্টগ্রাম শহরে চলে গেছেন অনেক আগেই।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট