প্রতিবেদন: রাহুল বড়ুয়া
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলাধীন সুচিয়া গ্রামের জন্মজাত সন্তান, ফতেনগর সার্বজনীন পূর্ব সুনীতি বিহারের সভাপতি ও বিহারাধ্যক্ষ, চন্দনাইশ ভিক্ষু পরিষদের সহ-সভাপতি, চন্দনাইশ বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদের উপদেষ্টা এবং সুচিয়া সুখানন্দ বিহারের প্রয়াত অধ্যক্ষ পূজনীয় ভদন্ত আর্যকীর্তি মহাস্থবিরের প্রথম শিষ্য নীরবসাধক বিনয়শীল সোমানন্দ মহাস্থবির-এর পুণ্যস্মৃতি স্মরণে ও নির্বাণ কামনায় অষ্টপরিস্কারসহ মহতি সংঘদান এবং পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠান গতকাল ২৫ জুলাই, শুক্রবার দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়।
সকালবেলায় অষ্টপরিস্কারসহ সংঘদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির। প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়ার ইছামতি অশোকারাম বিহারের অধ্যক্ষ সুমঙ্গল মহাস্থবির।
প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন উত্তর হাসিমপুর বন বিহারের নবরূপকার অধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাস্থবির।
উদ্বোধন করেন ফতেনগর বেনুবন বিহারের অধ্যক্ষ শরণানন্দ স্থবির।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—
ভদন্ত অতুলানন্দ মহাস্থবির (অধ্যক্ষ, সুচিয়া সুখানন্দ বিহার)
শীলরক্ষিত মহাস্থবির
এম. প্রজ্ঞামিত্র স্থবির
মৈত্রীপাল স্থবির
জে. বি. এস. আনন্দবোধি স্থবির (চেয়ারম্যান, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ)
স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন—
এডভোকেট সাম্যশ্রী বড়ুয়া, লিটন বড়ুয়া, শিক্ষক সংকর বড়ুয়া, এডভোকেট জয়দত্ত বড়ুয়া প্রমুখ।
এদিন দুপুরে সুচিয়া বুদ্ধ কীর্তনীয়া পরিষদ কর্তৃক কীর্তন পরিবেশন করা হয়।
দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় বিকাল ২টায়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘরাজ শাসনপ্রিয় মহাস্থবির।
প্রধান অতিথি ছিলেন সুমঙ্গল মহাস্থবির।
প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন মহাসচিব ড. সংঘপ্রিয় মহাস্থবির,
এবং অধ্যাপক জ্ঞানরত্ন মহাস্থবির।
উদ্বোধন করেন প্রয়াত মহাস্থবিরের প্রিয় শিষ্য এইচ. শীলজ্যোতি মহাস্থবির।
স্মৃতিচারণ ও ধর্মদেশনায় অংশগ্রহণ করেন—
ভদন্ত শীলমিত্র মহাস্থবির (অধ্যক্ষ, ফারিকুল বিহার, রামু
শীলানন্দ মহাস্থবির (অধ্যক্ষ, ঢেমশা শাক্যমুনি বিহার)
ভদন্ত মেত্তাবংশ মহাস্থবির (সাধনানন্দ বনভন্তের প্রিয় শিষ্য)
ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাস্থবির (সভাপতি, চন্দনাইশ বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদ)
অশোক বড়ুয়া (শীলঘাটা), প্রকৌশলী সীমান্ত বড়ুয়া, সংগীতশিল্পী ও বিহার কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস বড়ুয়া।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৃদুল বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত মহাস্থবিরের স্মরণে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে ব্যানার ও পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সকাল ও বিকেলে প্রয়াত ভান্তের শিষ্য ও উপস্থিত সকলে জল টেনে পুণ্যদান করেন এবং তাঁর পারলৌকিক নির্বাণ সুখ কামনা করেন