আমি নন্দিত নরকের বাসিন্দা,
সেখানেই এক কারাগারের কয়েদি আমি।
আমি ভালোবেসে নাম দেই তার শঙ্খনীল কারাগার,
সেখান থেকে পথ নেই পালাবার।
দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি আমি হিমু,
পালানোর কোনো দরজা নেই যদিও না যামু।
চারদিকে তাকিয়ে দেখি কোথাও কেউ নেই,
আমার সাথে ছিল একজন সেলমেট,
মধ্য বয়স্ক এক যুবক নাম তার মিসির আলী।
আমাকে জিজ্ঞেস করল নাম কী তোমার বাবু?
আমি বললাম আমার কোনো নাম নেই।
তাহলে কে তুমি বাবু?
আমি নির্বাসনে থাকা দ্বিতীয় মানব।
বাড়ি কোথায় তোমার?
আমার বাড়ি অচিনপুরে।
মধ্যহ্ন দুপুর কাটাতাম তন্দ্রাবিলাস করে,
আর বৃষ্টি এলে বৃষ্টি বিলাস করে।
তারপর আমি আবেগঘন একটা কবিতা বললাম,
আমার আছে জল তবু নিঃস্ব কেন লাগে?
আজ হিমুর বিয়ে হতো,
জেলে না ফেসে গেলে।
কী হয়ে ছিল সেদিন?
গৌরীপুর জংশনে অপেক্ষা করেছিল রুপা,
আমিও যাচ্ছিলাম সেথায়,
হঠাৎ হলুদ হিমু কালো র্যাব-এর কাছে ফেসে যায়।
মেঘ বলেছে যাব যাব যাওয়া হয়নি আর,
মিলন হয়নি আর হিমু এবং রুপার।
এ কথা বলে কাঁদতে কাঁদতে চোখ ভেসে যায়,
তাত্ক্ষণিক একটা তোয়ালে দিল মিসির আলী ভাই।
চোখের পানি মুছে যখন তোয়ালে রেখে দিতে যাই,
দেখি তোয়ালের ভেতর সুই সুতো দিয়ে আকা,
তিথির নীল তোয়ালে,
আমাদের কান্ড দেখে অন্য কয়েদির তারা তিনজন হাসে।
মিসির আলী আমাকে বলল তারা তিনজন পাগল কিছু মনে করো না,
তার সাথে গল্প করে করে রাত পার হতো,
তার বলা জোছনা ও জননীর গল্প আমার ভীষন প্রিয়।
মিরাজ হোসাইন গাজি
তরুন কবি ও লেখক