দিন তারিখ মনে নেই, মনে আছেনশুধু ২০০১ সালের আদম শুমারী গণনার কথা। ব্যাচলার জীবন, সবে মাত্র একাদশ শ্রেণীর ছাএ। আদম শুমারী গণনার জন্য বিভিন্ন বাড়ি যেতাম, চেনা অচেনা বহু লোকের বাড়ি গেলাম, কাজ কর্মে এত ব্যস্ত থাকতাম যে সময় কখন শেষ হয়ে যেত বুঝে উঠতে পারতাম না । আদম শুমারী করতে যেতে অনেক সময় ঘরে গিয়ে পরিদর্শক করে রিপোর্ট করা অনেক কষ্ট সাধ্য, তবে চোখ তমকে যায় চট্টগ্রাম কোরবানীগন্জ রাম বসু পুকুর পাড়ে এক স্বর্ণকার মহাজনের বাড়িতে প্রবেশ করে ” ছবির মতো জীবন ” সুন্দর তাদের আসবাবপত্র ও ঘরের পরিবেশ। খুবই আশ্চর্য আসবাবপত্র পিতলের, অন্যান্য পণ্য সামগ্রীও পিতলের , এমনকি দেবির আসন ঘর ছিল স্বপ্নের মুড়ানো, আমি চোখের পলকে পলকে সব দেখলাম। ভাবলাম স্বর্গীয় কোন রাজপ্রাসাদ। যথেষ্ট সম্মান দিল, বসাল আর সাবলীল কন্ঠে আস্তে আস্তে কথা বলল আর আমি একটু ইতস্তত বুদ করলাম হিন্দু ধর্মের অনুসারী বলে কিন্তু আমি মাষ্টার হিসেবে পরিচিত থাকায় যথেষ্ট শ্রদ্ধার প্রাত্র ছিলাম।
বহুদিন পরে সেই মহাজনের পরিবারের সাথে দেখা জামালখান স্কুলের সামনে, আমি নিরবে দেখলাম সাদাসিধে ভাবে নাতনিকে স্কুল থেকে নিতে।
ভাবলাম জীবন এমনি,জীবনে যখন যে পরিস্থিতি আসুক না কেন ভবিষ্যতকে নিয়ে ভাবনা ভাবাই উচিত।