প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫, ৬:৪০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ
মহান বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন আজ
ক্ষুদিরাম বসু ছিলেন একজন ভারতীয়-বাঙালি বিপ্লবী, যিনি ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুর জেলার হাবিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
লার হাবিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মত্যাগ করেন এবং ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট মুজাফফরপুর জেলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। প্রফুল্ল চাকির সাথে মিলে কিংসফোর্ডকে হত্যার চেষ্টার ঘটনা তার বিপ্লবী জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।
-
জন্ম ও শৈশব:
ক্ষুদিরাম বসু ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুর জেলার হাবিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন তহসিলদার ত্রৈলোক্যনাথ বসুর পুত্র। মাত্র ছয় বছর বয়সে মা ও বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি তার বড় বোনের কাছে বড় হন।
-
শিক্ষা:
প্রাথমিক শিক্ষা গ্রামের স্কুলে শেষ করার পর তিনি তমলুকের 'হ্যামিল্টন' স্কুল এবং মেদিনীপুরের 'কলেজিয়েট' স্কুলে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনায় ভালো হলেও, তার মধ্যে কিশোরোচিত দুরন্তপনা ও দুঃসাহসিক কাজের প্রতি আকর্ষণ ছিল।
-
বিপ্লবী জীবন:
কিশোর বয়সেই তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।
- কিংসফোর্ড হত্যা চেষ্টা: ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল, প্রফুল্ল চাকির সাথে মিলে ক্ষুদিরাম ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ভুল গাড়িতে বোমা পড়ে এবং দুজন ব্রিটিশ নারীর মৃত্যু হয়।
- গ্রেফতার ও বিচার: এই ঘটনার পর ক্ষুদিরামকে গ্রেফতার করা হয় এবং মুজাফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলায় তার বিচার হয়।
-
মৃত্যু:
১৯০৮ সালের ১৩ জুন তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং ১১ আগস্ট ভোর পাঁচটায় তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
-
পরবর্তী প্রভাব:
তার আত্মবলিদান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে এবং 'অগ্নিযুগের' অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে তিনি অমর হয়ে আছেন। মুজাফফরপুর জেলকে পরবর্তীতে তার নামে 'ক্ষুদিরাম বোস মেমোরিয়াল সেন্ট্রাল জেল' নামকরণ করা হয়।
-
-উইকিপিডিয়া হতে সংগৃহীত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত