আজন্মকালের বেলা
আহমেদ রাজুবেলা।
অদ্ভুত এক প্রেমিকার নাম।
জানি না বাস্তবতায় তার অস্তিত্ব কতটুকু!
তবে কাব্যিক দৃষ্টিকোণে এই নামটি সবচে বেশি অনুরণন সৃষ্টি করেছে।শুনেছি মহা সাগরের নিচে তার বসতবাড়ি!
সাঁতার জানিনে বলে এতো যুগ পরেও আমার, তাকে দেখাই হলো না পরখ করে।
আমার কল্পনাচিত্তেও তার বেশ আনাগোনা চলে।নম্বিখেত তুমি তো সাঁতার জানো? তুমি কী আমার বাহন হবে! ঐ অবরুদ্ধ পাথারে নিয়ে যাবে আমাকে?
মসৃণ অন্ধকার, ভারী রাত, হারিয়ে যাওয়ার অবকাশ।
কত ট্রিলিয়ন বছর হলো? বেলা, দিন দেখেনি!
যেখানে ভোর নেই, চাঁদ নেই, নেই কোনো গ্রহ-নক্ষত্র কিংবা কৃষ্ণ গহ্বরের দ্বৈপায়ন বা পতন।দুঃস্বপ্নের রাত অনেক দীর্ঘ হয়, কেটে যায় কোনো জন্ম বা মৃত্যুের বিদ্ধকরণ লগ্ন।
সেখানে বাতিকওয়ালা বাতি আগুন ধরিয়ে দেই ল্যামপোস্টের মাথায়।
আলো জ্বালাতে জ্বালাতে ক্লান্ত হয় একদল আজীবন দায়িত্বপ্রাপ্ত বাতিওয়ালার দল।চোখের তারা, ভোর দেখার জন্য স্বপ্নে বিভোর।
তবুও ভোরের দেখা মেলে না কভু!
ভোর বড্ড অভিমানী, আজন্মকালের জন্য অভিমানী।তবুও ‘বেলা’ কে বেলা পুরাবার আগেই একটিবার দেখে আসার তীব্র যন্ত্রণা আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।
নম্বিখেত, তুমি তো সাঁতার জানো!
আমাকে নিয়ে যাবে আমৃত্যু অবয়ব ‘বেলা’র কাছে.
আহমেদ রাজু
কবি ও আবৃত্তিকার