আমি সেই আগুনের পাষাণ,
যে কাঁদে না, ভাঙে! যে বাঁধে না, জাগে!
আমি ধ্বংসের করতাল বাজানো
অগ্নিবীণা, শ্রান্ত নয়, পাগে!
আমি ধূলায় লুটিয়ে উঠা
নবযুগের ঘোষক, বিদ্রোহের রক্তে পুতা!
আমি গঙ্গার জল নয়, রক্তের স্রোত,
আমি সে হাসি, যে কাঁদে না মোট!
আমি শিকল ভাঙার ঝড়,
আমি নিরাশার অগ্নি, যুগপ্রলয়-মরু-ঘূর্ণি!
আমি বঞ্চিতের অভিশাপ,
আমি গর্জে ওঠা নিরন্নের দুর্মর বাণী!
আমি বলি—ভাঙো! ভাঙো যত মন্দির
যেখানে মানুষ নয়, আছে কেবল প্রাচীন শৃঙ্খল!
আমি বলি—গড়ো! গড়ো নতুন আলয়,
যেখানে প্রেম আছে, নাই দম্ভ, নাই ছল!
আমি কুলি, আমি মজুর,
আমি খেটে খাওয়া মানুষের ক্রন্দন—
আমি অন্নহীন সন্তানের
মায়ের বুকের খসখসে বন্ধন।
আমি সেই বিদ্রোহী,
যে ধর্মে, জাতিতে, শাসকে মানে না শির নত করা,
আমি সমান—আমি মুক্ত,
আমি মানবতার জয়ধ্বনি ধরা!
আমি বাজি, ফাটি, গর্জে উঠি,
আমি বলি—এই দুনিয়ায় আর আঁধার চলবে না!
মানুষ হবে রাজা, মানুষই ধর্ম,
আর অন্যায়? সে তো টিকবে না!