উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা মানে এস.এস.সি পরীক্ষা ( Secondary school certificate) যা সাধারণত দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। এর মাধ্যমে একটি আনুষ্ঠানিক সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। যার মাধ্যমে শিক্ষার মানদণ্ড সৃষ্টি তথা H.S.C পড়ার যোগ্যতা হাসিল করা, সাধারণত এটা আমরা সবাই জানি মুল কথা হল ” বড়দের সম্মান করা ছোটদের স্নেহ করা”। প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তিনি নিজেও সাহাবায়ে কেরামদের একথা বলতেন। কিন্তু বর্তমানে তা ভিন্ন রুপ ধারণ করছে S.S.C পরীক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা’র তেমন মাথাব্যাথা নেই। আগেকার যুগে S.S.C পরীক্ষার্থীরা দাদা-দাদী, চাচা চাচী, কালা কালু, ফুপা-ফুপু সহ মুরব্বিদের সালাম প্রদান করত, দোয়া নিত। আর মুরব্বিরা পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন গিফট ও টাকা প্রদান করত। কিন্তু বর্তমানে বাবা-মা এ শিক্ষা সন্তানদের দিতে চাই না। সম্পর্কের জন্য ইমু,হোয়াটসঅ এ কল করে ক্লান্ত। কল রিসিভ করলে ভালো, না ধরলেতো আরও ভালো। কথায় কথায় বলবে কল করে ছিলামতো। অথচ অনলাইনে মানুষ সবসময় থাকেনা,থাকলেও সম্পর্ক ও এখন টুংকো। আর রেজাল্ট বের হলে উৎসবের আমেজও তেমন নেই, রেজাল্ট ও এখন ইমু হোয়াটসঅ্যাপ এ বন্দি। মানুষ সম্পর্ক মুল্যায়ন করতে চাই না, সম্পর্ক মজবুত করা জরুরি। সম্পর্কে কথা, আত্মীয় স্বজনের কথা কোরআন হাদিসে ও বলা হয়েছে। সুতরাং S.S.C পরিক্ষা যেখানে শিক্ষার মানদণ্ড, সেখানে শিক্ষাগুরু শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক রাখা সাথে সাথে আত্মীয় স্বজনসহ বড়দের সম্মান করা ছোটদের স্নেহ করা।