চিকিৎসা ক্ষেত্রে খনার বচন নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
“মাংসে মাংস বৃদ্ধি, ঘিতে বৃদ্ধি বল
দুধে বীর্য বৃদ্ধি, শাকে বৃদ্ধি মল”
অর্থ:
মাংস খেলে মাংস বাড়ে,
ঘি খেলে শরীরে বল আসে।
দুধ খেলে বীর্য বৃদ্ধি হয়,
আর শাক খেলে পেট পরিষ্কার থাকে।
খনার চিকিৎসা বচন (২)
“রসুনে রক্ত, আদায় গতি,
হলুদের গুণ ধরে না স্মৃতি।
তুলসী পাতায় কাশি যায়,
পেঁয়াজ খেলে যৌবন চায়।”
অর্থ:
রসুন রক্ত পরিষ্কার করে, আদা হজম বাড়ায়,
হলুদ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর, তুলসী কাশি সারায়।
পেঁয়াজ খেলে যৌনশক্তি বাড়ে।
খনার চিকিৎসা বচন (৩)
“কাঁচা আমে পেটের শান্তি,
পাকা আমে রসের ভাঁড়।
বেলের শাঁসে পেটের জাদু,
তেঁতুল খেলে মুখে ছাঁদ।”
অর্থ:
কাঁচা আম হজমে সহায়ক, পাকা আম শক্তি দেয়,
বেল পেট পরিষ্কার করে,
তেঁতুল মুখে স্বাদ বাড়ায়।
খনার চিকিৎসা বচন (৪)
“ধনে পাতা গরম কমায়,
পুদিনা মুখ ঠান্ডা চায়।
লেবুতে মল, কচুতে রক্ত,
এই সবজিতে জীবন শক্ত।”
অর্থ:
ধনে গরম কমায়, পুদিনা ঠান্ডা দেয়,
লেবু হজমে সহায়, কচু রক্ত বাড়ায়।
খনার চিকিৎসা বচন (৫)
“তেঁতুল দিলে মুখে রস,
পাকা কলায় চলে গস।
নিম পাতা করে শোধন,
তুলসী পাতায় হয় রোগ ক্ষয়ন।”
অর্থ:
তেঁতুল মুখে টক-মিষ্টি স্বাদ আনে,
পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
নিম পাতা রক্ত পরিশোধ করে,
তুলসী রোগ প্রতিরোধে সহায়।
খনার চিকিৎসা বচন (৬)
“আদায় গরম, রসুনে বল,
মেথি খেলে কমে কল।
চিরতা জলে পিত্ত ধোয়,
তেতো কাহার কভু ক্ষয়?”
অর্থ:
আদা গরম, রসুন শক্তিদায়ক,
মেথি গ্যাস-অম্বল কমায়।
চিরতা পিত্ত দূর করে,
আর তেতো শরীরের রোগ কমায়।
খনার চিকিৎসা বচন (৭)
“কচুতে রক্ত, চাল কুমড়ো ঠান্ডা,
তালের রসে শীতল ফাঁদা।
আনারসে গ্যাসে শান্তি,
দুধে খেলে শরীর ভারী।”
অর্থ:
কচু রক্ত বাড়ায়, চাল কুমড়ো ঠান্ডা দেয়,
তালের রস ঠান্ডা রাখে, আনারস গ্যাস কমায়।
দুধ শরীর মজবুত করে।
খনার চিকিৎসা বচন (৮)
“মধু মুখে দিলে জ্বালা যায়,
তিলের তেলে চুলে আয়।
লাউয়ে জ্বর, করলাতে পিত্ত,
জ্বরের দিনে করো না হিত।”
অর্থ:
মধু মুখ ঠান্ডা রাখে,
তিলের তেল চুলে দিলে উজ্জ্বল হয়।
লাউ জ্বর কমায়, করলা পিত্ত দূর করে,
তবে জ্বরে করলা খাওয়া ঠিক নয়।