প্রতিবেদক:হৃদয় চক্রবর্তী।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী, এনসিপি, ছাত্রশিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীদের এই ঘটনায় চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূরের অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় ‘সর্বস্তরের ছাত্রজনতা’র ব্যানারে পটিয়া ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্ররা পটিয়া থানা ঘেরাও করে। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
দীপংকর তালুকদার নামে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা পটিয়ায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। কিন্তু পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে, বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওসি জায়েদ নূরের নেতৃত্বে পুলিশ দুই দফায় ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ করে এরুপ অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা। এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বুধবার সকাল ১০টায় ‘পটিয়া ব্লকেড’ কর্মসূচি আহ্বান করে তারা।
(১ জুলাই) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর তালুকদাকে আটক করে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসেন।
ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার না দেখিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এতে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২দফা সংঘর্ষে ১৫জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেণ তারা। এতে প্রথম দফায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬জন আহত হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষ দর্শীরা। এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে জড়ালে আরো ৯ জন আহত হয়েছে বলে দাবি জানায় তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের কর্মীদের ওপর লাঠিপেটা করেছে। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে’বলে জানান তিনি।
পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসে মব সৃষ্টি করে মারধর করেছিল। এ সময় ধস্তাধস্তিতে ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এই ঘটনার তিব্র নিন্দা জানায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী।তিনি আরো বলেন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলবে।