প্রতিবেদন:শহিদুল ইসলাম কায়েস (সাতকানিয়া প্রতিনিধি )
২০১৭ সালে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে যান আব্দুল হামিদ। প্রথমে আত্মীয়ের দোকানে কাজ করলেও পরে একটি ওষুধের দোকানে স্থায়ীভাবে চাকরি শুরু করেন। ভালোই চলছিল সব। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকে হঠাৎ পিঠে অসহ্য ব্যথা শুরু হয়। রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু ওষুধ নেন, তবে অবস্থার উন্নতি হয়নি। আত্মীয়স্বজনের কথামতো দেশে ফেরেন চিকিৎসার জন্য।
দেশে ফিরে ছুটতে থাকেন হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রাইভেট ও সরকারি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে চিকিৎসকরা জানান—তার দুটি কিডনি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
বর্তমানে রাজধানীর ইনসাফ বারাকা কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে হামিদকে। প্রতিবার খরচ হয় প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। এর পাশাপাশি ওষুধ ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মাসিক খরচ দাঁড়ায় কয়েক লাখ টাকা। হামিদ বলেন, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করাতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই টাকার এক তৃতীয়াংশ জোগাড় করতেও আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই দেশের মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইছি।
আব্দুল হামিদ কান্নাভেজা গলায় আরও বলেন, আমি সুস্থ হতে চাই। আমার ছোট্ট ছেলেটার মুখ চেয়ে বাঁচতে চাই। আমি জানি না ভবিষ্যৎ কেমন, কিন্তু মানুষের সাহায্যে যদি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারি, হয়তো আবারও হেঁটে বেড়াতে পারবো। আমি দেশের প্রধান উপদেষ্টাসহ সবার কাছে অনুরোধ করছি, আমাকে সাহায্য করুন।
আব্দুল হামিদ আরও বলেন,ওর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এখনই বিপুল পরিমাণ টাকা দরকার। একা একা এই খরচ চালানো অসম্ভব। তাই সবাই যদি এগিয়ে আসে, তাহলে হয়তো সে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।
আব্দুল হামিদ খুবই ভদ্র ও পরিশ্রমী ছেলে। পরিবার চালাতে বিদেশে গিয়ে সব করেছে। আজ জীবন-মরণ সংকটে পড়েছে। সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ- এই এলাকার ছেলেটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।
এ অবস্থায় তার পরিবার সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকার আশায় সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: হিসাব নং- 20502940201800214, ইসলামী ব্যাংক, কেরানীহাট শাখা, চট্টগ্রাম। তার বিকাশ নম্বর: ০১৩১৭-৪৯০১০৯, নগদ: ০১৮৫২-৭৭৭১০৬।